জীবনের সব প্রতিবন্ধীকতাকে হার মানিয়ে নজরকারা সাফল্য রাজগঞ্জের তৃষ্ণা রায়ের!!


আর্থিক প্রতিবন্ধিতার সাথে প্রতি মুহূর্তে লড়াই করে উচ্চমাধ্যমিকে নজরকারা সাফল্য বেলাকোবার তৃষ্ণা রায়ের। রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। বেলাকোবা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী তৃষ্ণা রায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৯।  আগামীতে ডব্লিউবিসিএস নিয়ে পড়াশোনা করে বিডিও হতে চায় তৃষ্ণা।

রাজগঞ্জের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপাড়ার বাসিন্দা কুসুমেশ্বর রায়ের ছোট মেয়ে তৃষ্ণা। মা চা শ্রমিক, বাবা ছোট ব্যবসা করেন,মাঝখানে বাবা অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের আর্থিক অবস্থা আরো খারাপ হয়।টিউশনের ফিজও দিতে পারেনি তৃষ্ণা,টিউশনের টিচার বিনা পারিশ্রমিকেই পড়াতেন।  চা-কারখানায় কাজ করেই সংসার কোনমতে চালান তৃষ্ণার মা। এই অল্প আয়ের মধ্যে দিয়েই স্বামী,স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাদের ছোট মেয়ে তৃষ্ণা রায় দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছে।তাতে খুশি পরিবারের সদস্যরা সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
তৃষ্ণা শুধু লেখা পড়ায় নয়, সে নাচ ক্যারাটে তেও সমান পারদর্শী। প্রতিনিয়ত নানান প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে হার মানিয়ে মা সরস্বতী যেন আশীর্বাদ করেছে তৃষ্ণাকে। 


বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে গিয়ে ফুল ও মিষ্টিমুখ করিয়ে তাকে সংবর্ধনা জানান বেলাকোবা গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ দে।

তৃষ্ণা রায় জানান, খুব ভালো লাগছে। যদিও নম্বরটা আরো বেশি আশা করেছিলাম। আগামীতে ডব্লিউবিসিএস করে বিডিও হতে চাই।

তৃষ্ণার মা রিনা রায় বলেন, মেয়ের সাফল্যে আমরা সকলেই খুব খুশি। মেয়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ করেই পড়াশুনা করতো, আগামীতে বিডিও হতে চায়। ডাবলু.বি.সি.এস.অফিসার হতে গেলে যে পড়াশোনা করতে হয় তাতে যা খরচ সেই নিয়ে চিন্তায় আছি আমি । আমি চা কারখানায় শ্রমিকের কাজ করি। স্বামী যখন যা পায় ছোট ব্যবসা করেন। এই ভাবেই আমাদের কোনোরকমে সংসার চলে। মেয়ের আগাম পড়াশোনা জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। যদি সরকারি বা বেসরকারিভাবে কেউ সাহায্য করে তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে বলে জানান তিনি।
তৃষ্ণার এই সাফল্যে খুশি পাড়া-প্রতিবেশীরাও।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন