সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে পাকিস্তান এবং বিশ্বকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী! জানুন এক ক্লিকে!
"ভারতের হকের জল, ভারতের জন্যই ব্যবহার হবে" — প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় বার্তা, ইন্দাস জলচুক্তি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি একটি অত্যন্ত স্পষ্ট ও কৌশলগত বার্তা দিয়েছেন:
"ভারতের হকের জল, ভারতের জন্যই ব্যবহার হবে।"
এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ইন্দাস জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) নিয়ে ভারত তার অবস্থান আরও শক্ত করছে।
ইন্দাস চুক্তি: ইতিহাস ও সীমাবদ্ধতা
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায়। এর অধীনে তিনটি নদী (সিন্ধু, ঝেলম ও চেনাব) পাকিস্তানের এবং তিনটি নদী (সতলজ, বিয়াস ও রাভি) ভারতের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়।
কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তান বহু বছর ধরে ভারতের জল-প্রকল্পে আপত্তি জানিয়ে এসেছে, আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বারবার, এবং উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা সৃষ্টি করেছে।
নতুন যুগে নতুন ভারত
বর্তমানে, ভারতের জনসংখ্যা, কৃষি, শিল্প, পানীয়জল ও জলবিদ্যুৎ চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, মোদীর বার্তা কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়—এটি সার্বভৌমত্ব, আত্মনির্ভরতা ও জলসম্পদের অধিকারের প্রশ্ন।
ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে:
ভারতের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে যে নদীগুলি উৎপন্ন ও প্রবাহিত, সেগুলোর জল ভারত সরকার তার নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করবে।
পাকিস্তান যদি বারবার চুক্তির অপব্যাখ্যা করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাহলে ভারতও কূটনৈতিক ও আইনি স্তরে তার স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তুত।
কী বার্তা দিচ্ছে এই অবস্থান?
"ভারত প্রথম" (India First) নীতির প্রতিফলন
"জলই জীবন" (Jal Hi Jeevan Hai) নীতিকে কার্যকর করার দৃঢ় সংকল্প
আত্মনির্ভর ভারত গঠনের আরেকটি ভিত্তিপ্রস্তর
স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী।এই কৌশলগত বার্তা শুধু পাকিস্তান নয়, গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিল—নতুন ভারত তার অধিকার রক্ষায় আর আপস করবে না।