অপারেশন সিন্দুর:পহেলগাম হামলার জবাবে ভারতের সুসংগঠিত প্রতিশোধ, সারারাত ওয়ার রুমে মোদি!
পাহাড়ি এলাকা পহেলগামে একটি নির্মম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত সরকার দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুতি নেয়। এই নৃশংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী চালায় একটি সুপরিকল্পিত এবং নিখুঁত প্রতিরোধমূলক অভিযান, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনএসএ অজিত দোভাল কে নিয়ে রাতভর নজরদারি
অপারেশন প্রত্যক্ষ করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে ওয়ার রুমে উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির উপর নজরদারি করেন। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে অভিযান পরিচালনার সময় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
লক্ষ্যবস্তু ও সুনির্দিষ্ট হামলা
অপারেশনের আওতায় পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চলে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবা-র সাথে যুক্ত নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটির উপর সুনির্দিষ্ট এবং সফল হামলা চালানো হয়। এই ঘাঁটিগুলি দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভূমিকা
অপারেশনটি সম্পূর্ণরূপে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, যার ফলে নিরীহ মানুষের ক্ষতি বা ভুল টার্গেটে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই তথ্যগুলো ছিল বহু স্তরে যাচাই করা এবং যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য।
পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়নি
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানিয়েছে, অপারেশন সিন্দুরের কোনও পর্যায়েই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর স্থাপনায় আক্রমণ চালানো হয়নি। এর ফলে এই মিশন একটি অপ্ররোচনামূলক ও নিয়ন্ত্রিত সামরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভারতের অবস্থান
ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই অপারেশনকে আত্মরক্ষামূলক এবং সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। ভারত বরাবরের মতোই পাকিস্তানে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতিফলন ঘটিয়েছে এই অভিযানের মাধ্যমে।