হাতির হানায় মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যের আশায় রাজেশ ওরাওয়ের অসহায় স্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল থেকে প্রতিদিন বেরিয়ে আসছে একদল বন্য হাতি। তাণ্ডব চালাচ্ছে গ্রামে। জমি-জায়গা, ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। কিছু দিন আগেই এই হাতির হামলাতেই প্রাণ হারান রাজেশ ওরাও। পরিবার জানাচ্ছে, তিনি ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী, কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতো। তাঁর মৃত্যুতে কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার।
রাজেশের স্ত্রী আমতি ওরাও ভকত বলেন, “আমাদের সংসার চালানোর আর কেউ নেই। দিদির (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে অনুরোধ,যেন আমাদের দিকে একটু নজর দেন। সরকারি সাহায্য পেলে হয়তো বাঁচতে পারব।”
এই পরিস্থিতিতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের রয়েছেন তাঁরা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে যেন দ্রুত কোনও সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়।
এলাকার বাসিন্দারাও আতঙ্কিত। তাঁদের কথায়, “প্রতিদিনই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে হাতির দল। আতঙ্কে দিন কাটছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা করছে বনদপ্তরের কর্মীরা, তারপরেও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজেশ ওরাওয়ের পরিবারও আজ একটাই আবেদন রাখছে – মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের পাশে দাঁড়ান।
