হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী, বন কর্মীদের অসহযোগিতার অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজগঞ্জের বোদাগঞ্জে।


নিজস্ব সংবাদদাতা,রাজগঞ্জ বিধানসভার বারপাটিয়া অঞ্চলের একাধিক গ্রামে জংলি হাতির লাগাতার উপদ্রবে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বোদাগঞ্জ বাজার, নদাবাড়ি, ১৬ ডাঙ্গা, মেজপাড়া, গুয়াবাড়ী, ঝাকুয়াপাড়া—এই সমস্ত এলাকায় বিগত কয়েকদিন ধরে হাতির অত্যাচারে মানুষ কার্যত রাতে ঘুমাতে পারছেন না।

অঞ্চলবাসীদের অভিযোগ, একদিকে হাতির হানা দিনের পর দিন বাড়ছে, অন্যদিকে বনদপ্তরের কর্মীরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না। স্থানীয়রা জানান, বন কর্মীদের সহযোগিতার অভাব এখন চরমে। আগে যেভাবে বন সংলগ্ন গ্রামগুলোর সঙ্গে দপ্তরের সুসম্পর্ক ছিল, এখন তা ভেঙে পড়েছে। টাকিমারীতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনার পর থেকেই বনকর্মীরা এই এলাকাগুলোর প্রতি নজর দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

আজ বোদাগঞ্জ বাজারে স্থানীয় বাসিন্দারা একত্র হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তাদের দাবি, প্রতিনিয়ত হাতির হামলার মুখে প্রাণ হাতে করে দিন কাটাতে হচ্ছে, অথচ বনদপ্তর শুধু ক্ষতিপূরণ বা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায় এড়াতে চায়।

এলাকার বাসিন্দা বাবলু রায় বলেন,
"আমাদের এখানে হাতি এলে বন দপ্তরকে কিছু জানিয়ে কোনও লাভ নেই। গতকালও তিনজন গ্রামবাসী ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন। একটা ক্ষতিপূরণ বা একটা চাকরি দিয়ে কি কারো জীবন ফিরিয়ে দেওয়া যায়? যদি আগামী দিনে হাতির হানায় কেউ মারা যান বা আহত হন, তখন যদি রাগের বশে কেউ হাতির ক্ষতি করে বসে, তার দায় গ্রামবাসীদের উপরে চাপানো চলবে না।"

অন্যদিকে, বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার চিরঞ্জিত পালকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি বর্তমানে অসুস্থ, তাই এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারছেন না।

এদিকে লাগাতার হাতির হামলা ও বন দপ্তরের নীরবতায় গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁরা চাইছেন অবিলম্বে বন দপ্তর সক্রিয় হোক এবং মানুষের প্রাণ ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করুক। না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন